ভগবান আমাদের অনেক সুস্থ রেখেছেন এবং অনেক কিছু করার ক্ষমতাও দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের চারপাশে অনেক মানুষ আছে যারা একেবারে অসহায়, দুস্থ। তারা সমাজের শিক্ষিত আলোর থেকে একটু দুরেই বসবাস করে। আমরা খুব কমেই তাদের কথা ভাবি। ভাববই বা কেন,তাদের সাথে আমাদের কিসের স্বার্থ?
কিন্তু আমরা হলাম একটু ব্যতিক্রমী। তাই আমাদের মনগুলো বারবার ছুটে যেতে ইচ্ছা করে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের প্রত্যন্ত শবর গ্রাম গুলোর শান্ত সহজ মানুষদের কাছে। তাদের পাশে থেকে তাদের দুঃখ গুলোকে ভাগ করে নিতে নিতে কখন যে তাদের সাথে আমাদের একটা সম্পর্ক হয়ে উঠেছে আমরা বুঝতেই পারিনি।
আমরা কয়েক জন বন্ধু মিলে শুরু করি "বন্ধু" গ্রুপ" (Gov Reg No- S0011698/19-20) আমরা অনেকেই ছাত্র ছাত্রী, অনেকেই সবে মাত্র চাকুরি পাওয়া, অনেকেই প্রাইভেট এ চাকুরিরত। হ্যাঁ, ব্যস্ততা আছে, তার মধ্যেও নিজেদের কিছু সঞ্চয় থেকে আমরা সেই অসহায় শবর পরিবার গুলো কে সাহায্য করে চলেছি নিরন্তর। আর তাই আরেকবার পৌঁছে গিয়েছিলাম বান্দোয়ানের পাহাড়ী এলাকা গুলো তে।
তারিখ টা ছিল 17 নভেম্বর 2019, আমরা সকাল সাতটার সময় বেড়িয়ে পড়লাম একরাশ আনন্দ আর হাসি খোঁজে।
প্রায় 150 জন শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্কদের হাতে আমরা তুলে দিতে পেরেছিলাম নতুন শীত বস্ত্র যথা চাদর, শুয়েটার, টুপি ইত্যাদি। সাথে ছিল আমাদের কিছু পুরানো ভালো অব্যবহিত জামা কাপড়। আমরা পরিবার পিছু দিতে পেরেছিলাম সাবান, ডিটার্জেন্ট, বিস্কুট। প্রতিটি ছাত্র ছাত্রীকে তাদের পড়াশুনোর প্রতি আকর্ষণ করার জন্য আমরা তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলাম বই, খাতা, কলম, রাবার, পেনসিল, ড্রয়িং বই, রঙপেনসিল ইত্যাদি।
আমরা চাই আরো বেশি সংখ্যক মানুষ আমাদের পাশে আসুক। এসে এই মূহুর্ত গুলোর সাক্ষী থাকুক। আর এভাবেই হয়তো কোনোদিন এই শবর মানুষগুলো সভ্য সমাজের সাথে মেলবন্ধন করতে পারবে। তাদের প্রাপ্যটুকু তারা যেন বুঝেনিতে পারে। আসুন আপনিও। সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিন।
লেখা- কাকলি চক্রবর্তী (সদস্য)
কিন্তু আমরা হলাম একটু ব্যতিক্রমী। তাই আমাদের মনগুলো বারবার ছুটে যেতে ইচ্ছা করে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের প্রত্যন্ত শবর গ্রাম গুলোর শান্ত সহজ মানুষদের কাছে। তাদের পাশে থেকে তাদের দুঃখ গুলোকে ভাগ করে নিতে নিতে কখন যে তাদের সাথে আমাদের একটা সম্পর্ক হয়ে উঠেছে আমরা বুঝতেই পারিনি।
আমরা কয়েক জন বন্ধু মিলে শুরু করি "বন্ধু" গ্রুপ" (Gov Reg No- S0011698/19-20) আমরা অনেকেই ছাত্র ছাত্রী, অনেকেই সবে মাত্র চাকুরি পাওয়া, অনেকেই প্রাইভেট এ চাকুরিরত। হ্যাঁ, ব্যস্ততা আছে, তার মধ্যেও নিজেদের কিছু সঞ্চয় থেকে আমরা সেই অসহায় শবর পরিবার গুলো কে সাহায্য করে চলেছি নিরন্তর। আর তাই আরেকবার পৌঁছে গিয়েছিলাম বান্দোয়ানের পাহাড়ী এলাকা গুলো তে।
তারিখ টা ছিল 17 নভেম্বর 2019, আমরা সকাল সাতটার সময় বেড়িয়ে পড়লাম একরাশ আনন্দ আর হাসি খোঁজে।
প্রায় 150 জন শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্কদের হাতে আমরা তুলে দিতে পেরেছিলাম নতুন শীত বস্ত্র যথা চাদর, শুয়েটার, টুপি ইত্যাদি। সাথে ছিল আমাদের কিছু পুরানো ভালো অব্যবহিত জামা কাপড়। আমরা পরিবার পিছু দিতে পেরেছিলাম সাবান, ডিটার্জেন্ট, বিস্কুট। প্রতিটি ছাত্র ছাত্রীকে তাদের পড়াশুনোর প্রতি আকর্ষণ করার জন্য আমরা তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলাম বই, খাতা, কলম, রাবার, পেনসিল, ড্রয়িং বই, রঙপেনসিল ইত্যাদি।
আমরা চাই আরো বেশি সংখ্যক মানুষ আমাদের পাশে আসুক। এসে এই মূহুর্ত গুলোর সাক্ষী থাকুক। আর এভাবেই হয়তো কোনোদিন এই শবর মানুষগুলো সভ্য সমাজের সাথে মেলবন্ধন করতে পারবে। তাদের প্রাপ্যটুকু তারা যেন বুঝেনিতে পারে। আসুন আপনিও। সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিন।
লেখা- কাকলি চক্রবর্তী (সদস্য)
হ্যাঁ, আমরা পেরেছি তাদের মুখে হাঁসি ফোটাতে।



কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন