বেলপাহাড়ি ডাইরি -২ (বন্ধু ফাউন্ডেশ)
আমাদের বারবার ছুটে যেতে ইচ্ছা করে পাহাড় ঘেরা জঙ্গলের মাঝে ভাঙ্গা দেওয়ালের মধ্যখানে অথবা কোন পুরানো বট গাছের নিচে থাকা শান্ত সরল অসহায় শিশুদের কাছে। তাদের পেট একমুঠো খাবারের জন্য জ্বলতে থাকলেও তারা মুখ ফুটে বলতে পারে না, পারলেও বলতে নেই। কারণ তাদের কাছে বনের ফল-পাতা-জল খেয়েই যে জীবন কাটাতে হয়। পৃথিবীতে আসার আগেই মাতৃগর্ভ থেকে তারা বুঝতে শিখে যায়, তাদের কোনো অধিকার নেই, থাকতেও পারেনা। তারা শুধু মাত্র ক্ষিদের জ্বালা সহ্য করার জন্য এই পৃথিবীতে এসেছে। তাদের জন্য শিক্ষা , স্বাস্থ্য এই শব্দ গুলোর কোন মানে নেই। আসলে তাদের জন্য কেউ ভাবে না, কেউ ভাবতে চায় না।
তবে আমরা আশাবাদী, এই দিন, একদিন ঠিকিই বদলে যাবে। আমরা যেয়ে দেখতে পাবো বাচ্চারা পিঠে ব্যাগ নিয়ে স্কুল যাচ্ছে, তাদের বাবা-কাকা রা চাষবাস করছে, কেউ ব্যবসা করছে, কেউ বা সরকারি কোনো কাজে যুক্ত আছে। তাদের মা-এরা বাড়িতে রান্না করছে, অথবা ছোট-বড় ইত্যাদি হাতের তৈরি জিনিষ পত্র বাজারে বিক্রির উদ্দ্যেশে রৌওনা দিচ্ছে। বয়স্ক মানুষেরা বাড়ির উঠোনে বিশ্রাম নিতে নিতে একে অপরের সাথে গল্প গুজব করছে।
আমাদের জানা নেই কত জন্মপর তাদের এই ভাবে হাসতে দেখতে পাবো। তবুও আমরা আশাবাদী, আর এই আশা থেকে মাঝে মধ্যে ছুটে যাই এই সকল অসহায়, বঞ্চিত শিশুদের কাছে। আমরা স্কুলছুট বাচ্চাদের জন্য খাতা থেকে শুরু করে ড্রয়িং বই সমস্ত কিছুই তাদের হাতে তুলে দিয়ে, তাদের পড়াশুনোতে আগ্রহী করার জন্য বিভিন্ন ভাবে তাদের বুঝানোর চেষ্টা করি। আমাদের কম সময়ের চেষ্টাতে খুব একটা ফল না পেলেও এভাবেই একদিন ঠিক তারা বদলে যাবেই। সেদিন আর আমাদের বোঝানোর প্রয়োজন হবে না।
আমরা লক্ষ্য করেছি তাদের শরীরে জামা-কাপড় নেই বললেই চলে। কেউ অর্ধ নগ্ন, কেউ বা ছেড়া মলিন কাপড় গায়ে জড়িয়ে রাখে। আর তার জন্য আমারা তাদের হাতে তুলে দিই নতুন বস্ত্র। যাতে তারা খালি শরিরে না থাকে। নতুন জামার পাশাপাশি আমাদের অব্যবহিত ভালোমানের পোশাক গুলোও তাদের হাতে তুলে দিই। যাতে তারা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে পারে।
আসুন আপনিও......ভালবাসা দিতে ও নিতে!
ধন্যবাদ......
(Whatsapp No- 9851333777)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন